Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

এক নজরে

 

বাগেরহাটে শিক্ষানুরাগী জনগনের চেষ্টায় ১৯১৫ সালে কাড়াপাড়া গ্রামে এক শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ১৯১৭ সালের প্রথম দিকে কাড়াপাড়া শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি ও পরিকল্পনার কথা প্রথম প্রত্যক্ষভাবে উত্থাপন করা হয়। এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন তৎকালিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি: জে ভাস এম আই সি এম (J VASS ICS) । জনগণের পক্ষে এ সভায় দাবী উত্থাপন করেন সৈয়দ সুলতান আলী। ১৯১৭ সালে ২৮ অক্টোবর কলেজ প্রতিষ্ঠার বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। দশানীর জমিদার গোপালচন্দ্র বিশ্বাসের বাড়ীতে হাবেলী খলিফাতাবাদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠায় একে একে অংশগ্রহণ করেন কাড়াপাড়ার জমিদার বংশের প্রবীন সদস্য অশ্বিনী কুমার রায় চৌধুরী, হেমচন্দ্র রায় চৌধুরী, নিশিকান্ত দাস, মহেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শুকলাল নাগ, সৈয়দ সুলতান আলী, ওবায়েদুল হক, রাজেন্দ্রকুমার নাগ, চন্দ্রকান্ত দাস, সুরেশচন্দ্র গুহ, পূর্ণচন্দ্র রায় চৌধুরী, ভারতচন্দ্র রায়, প্রসন্ন কুমার রায়। প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ ও কলেজের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয় হরিণখানা গ্রামে। কলেজের জন্য জমি প্রদান করেন সমাজ সেবক শেখ মো: কাসেম আলী এবং তার ভাই শেখ মো: সাবেদ আলী।

এসময় কলেজ স্থাপন বিষয়ে পি.সি. রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পি.সি. রায় কলেজ স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করেন। ১৯১৮ সালে ৮ ই আগস্ট কলেজের শিক্ষক ও জনবল কাঠামো নিয়োগ করা হয়। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হন কামাখ্যাচরণ নাগ। তিনি এর আগে বি.এল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯১৮ সালে ৯ ই আগস্ট কলা বিভাগের পাঠদানের মাধ্যমে কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কলেজের অনুমোদন ১৯২১ সালে। ১৯২২ সালের ১৪ই ফেবুয়ারি কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় পুকুর খননের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৩৫ সালে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মঘিয়ার জমিদার রামনরায়ন রায় চৌধুরীর প্রদত্ত অর্থ কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মনোরম পার্ক নির্মান করা হয়। এ পার্কের নাম রামনারায়ণ পার্ক।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত কলেজের নাম ছিল বাগেরহাট কলেজ। এর পর কলেজের পরিচালনা পর্যদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নাম পরিবর্তন করে প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ বা পি.সি. কলেজ নামকরণ করা হয়। পি.সি রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি এনে বিজ্ঞানাগার স্থাপন করা হয়। গ্যাস প্লান্ট বসানো হয়নি। ডায়নামো দিয়ে পি.সি কলেজে আলোর ব্যবস্থা করা হয় তখনো বাগেরহাট শহরে বিদ্যুৎ আসেনি।